চলতে মাস থেকেই মালেশিয়ায় ৩ লক্ষ লোক নিবে। সরকারি আবেদন
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে, আপনাকে এই সাধারণ পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
### 1. **মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার**
- প্রথমে আপনাকে একটি মালয়েশিয়ান কোম্পানি থেকে চাকরির অফার নিশ্চিত করতে হবে। নিয়োগকর্তাকে সাধারণত প্রমাণ করতে হবে যে কোনও স্থানীয় মালয়েশিয়ান এই পদের জন্য উপলব্ধ ছিল না এবং তাদের অবশ্যই **মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ** থেকে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে হবে।
### 2. **নিয়োগকর্তার দায়িত্ব**
- মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগে **অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাস (EP)** বা **কর্মসংস্থান পাস (EP)** জমা দিয়ে কাজের ভিসার জন্য আবেদন শুরু করবেন।
- দক্ষ কর্মীদের জন্য, নিয়োগকর্তা **কর্মসংস্থান পাস (EP)** এর জন্য আবেদন করবেন, যখন আধা-দক্ষ বা স্বল্প-দক্ষ কর্মীদের জন্য, সাধারণত **অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাস** ব্যবহার করা হয়।
- নিয়োগকর্তাকেও **প্রবাসী পরিষেবা বিভাগ (ESD)** থেকে অনুমোদন নিতে হবে, যদি প্রযোজ্য হয়, বিশেষ করে উচ্চ-দক্ষ চাকরির জন্য।
### 3. **ডকুমেন্টেশন আবশ্যক**
- **পাসপোর্ট**: আপনার পাসপোর্ট আবেদনের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হবে।
- **কর্মসংস্থান চুক্তি**: আপনার মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আপনার স্বাক্ষরিত কর্মসংস্থান চুক্তির একটি অনুলিপি।
- **ভিসা আবেদনপত্র**: সম্পূর্ণ কাজের ভিসার আবেদনপত্র (মালয়েশিয়ান দূতাবাসে বা ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যায়)।
- **পাসপোর্ট ছবি**: সাম্প্রতিক পাসপোর্ট আকারের ছবি।
- **চিকিৎসা পরীক্ষা**: আপনি কাজের জন্য উপযুক্ত এবং সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত আছেন তা নিশ্চিত করার জন্য একটি মেডিকেল পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
- **একাডেমিক সার্টিফিকেট**: কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে যোগ্যতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
- **নিয়োগকর্তার নথি**: নিয়োগকর্তাকে ব্যবসার নিবন্ধন এবং ট্যাক্স রেকর্ডের মতো নথিপত্র সরবরাহ করতে হবে।
### 4. **ভিসা আবেদন**
- নিয়োগকর্তা মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন পেলেই **ঢাকায় মালয়েশিয়ান দূতাবাস** কাজের ভিসা প্রক্রিয়া করবে।
- ভিসার প্রকারের উপর নির্ভর করে, প্রক্রিয়াকরণের সময় পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়।
### ৫. **অনুমোদন এবং ওয়ার্ক ভিসা প্রদান**
- আপনার কাজের ভিসার আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার পাসপোর্টে একটি **মালয়েশিয়া ওয়ার্ক ভিসা** স্টিকার পাবেন। এটি আপনাকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে এবং আপনার কর্মসংস্থান শুরু করার অনুমতি দেবে।
- পৌঁছানোর পর আপনাকে একটি **অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাস** জারি করা হবে, যেটি আপনি কাজ শুরু করার পরে আরও স্থায়ী **কর্মসংস্থান পাস** দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
### 6. **আগমন এবং ওয়ার্ক পারমিট**
- মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর, আপনার এমপ্লয়মেন্ট পাস কার্ড সংগ্রহ করতে আপনাকে **ইমিগ্রেশন বিভাগে** যেতে হতে পারে।
- আপনার থাকার সময় কোনো আইনি সমস্যা এড়াতে আপনার ভিসা নবায়ন এবং কর্মসংস্থানের অবস্থা সম্পর্কিত সমস্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করা নিশ্চিত করুন।
### গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
- **কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করবেন না**। এর ফলে আইনি সমস্যা হতে পারে।
- মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা সাধারণত আপনার নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার সাথে সংযুক্ত থাকে, তাই আপনি যদি চাকরি পরিবর্তন করেন, তাহলে আপনাকে একটি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হতে পারে।
- অতিরিক্ত অবস্থান এড়াতে আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের দিকে নজর রাখুন।
সবচেয়ে আপ-টু-ডেট তথ্যের জন্য, **মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট**-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা বা **ঢাকায় মালয়েশিয়ান দূতাবাস**-এর সাথে যোগাযোগ করা ভালো।
Comments
Post a Comment